• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

`পাকিস্তানিদের উদ্দেশ্যে ছিল দেশকে মেরুদণ্ডহীন করা` 

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০২১  

‘বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন স্বীকৃতি দিতে শুরু করে, ঠিক তখনই নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত উপলদ্ধি করতে পেরে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ দেশীয় কিছু আলবদর, আলশামস ও রাজাকারদের সহযোগিতায় এক ভয়ানক হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। পাকিস্তানিদের উদ্দেশ্যে ছিল বাংলাদেশকে মেরুদণ্ডহীন ও মেধাশূন্য জাতিতে পরিণত করা। কিন্তু তারা একাত্তরের যুদ্ধের মতো এখনও বাংলাদেশের কাছে পরাজিত। পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে বাঙালি জাতি আজ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এই অর্জন ধরে রেখে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল স্বনির্ভর দেশে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণ করতে হবে।’

গতকাল মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর টাউন হল মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। রংপুর জেলা প্রশাসন এ আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আবদুল ওয়াহাব ভূঞা। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। বিশেষ অতিথি ছিলেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আবদুল আলীম মাহামুদ, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ছাফিয়া খানম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুব রহমান হাবু প্রমুখ।

আলোচনায় সভায় বক্তারা বলেন, সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্ন সারথী দেশসেরা শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, সাংবাদিক, গবেষক, রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, প্রকৌশলী, কবি-সাহিত্যিক, আইনজীবীসহ প্রখ্যাত ব্যক্তিদের বেছে বেছে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। অকথ্য নির্যাতনের পর হত্যা করে রায়ের বাজার ও মিরপুর বধ্যভূমিতে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ ফেলে রাখা হয়। একাত্তরের দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের শেষ সময়ে মাতৃভূমি বাংলাদেশ যখন চূড়ান্ত বিজয় অর্জন থেকে মাত্র কয়েক ঘণ্টা দূরে ঠিক তখনই দেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এক ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল।  

আলোচনা শেষে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বিজয়ী শিশু-কিশোরদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে সকাল থেকে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে টাউন হল বধ্যভূমি ও সুরভি উদ্যানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও উপজেলা পর্যায়ে যথাযথ শ্রদ্ধা ও মর্যাদার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –